সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:১৯

শিরোনাম :
প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ বরিশাল সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাদিস মীরের মনোনয়ন দাখিল বরিশালে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস জনজীবন,বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ! বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জসিম উদ্দিনের মনোনয়নপত্র দাখিল বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এসএম জাকির হোসেনের মনোনয়নপত্র দাখিল
ধর্মের মা ডেকে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে প্রতারণা

ধর্মের মা ডেকে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে প্রতারণা

dynamic-sidebar

ঝালকাঠির রাজাপুরের মানকি গ্রামের এছাহাক হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদারের বিরুদ্ধে মঠবাড়ি গ্রামের দুবাই প্রবাসী আজগর আলীর স্ত্রী কহিনুর বেগমকে ধর্মের মা ডেকে বাসায় আসা যাওয়ার সুযোগ নিয়ে চেক, দলিল, সোনার গহনা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে উল্টো ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কহিনুর বেগম ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এবং রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে বুধবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে কহিনুর বেগম লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে জানান, মানকি গ্রামের এছাহাক হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদার মঠবাড়ি গ্রামের দুবাই প্রবাসী আজগর আলীর স্ত্রী কহিনুর বেগমকে ধর্মের মা ডেকে বাসায় আসা যাওয়া সুযোগে গত এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখে কৌশলে ঘরের আলমিরা খুলে কোর্ট ফাইল থাকা কহিনুরের স্বাক্ষরকৃত সোনালী ব্যাংকের ৩টি চেক (নং ৩০০২২৯০, ৩০০২২৯১ ও ৯৩২৮৯৬৯) ৫টি জমির দলিল, ৪টি পর্চা, জাতীয় পরিচয়, মেয়ের জন্মসনদ, ছেলের এসএসসির সনদ, আলমিরার মধ্যে থাকা ৪০ হাজার টাকা, ২টি সোনার চেইন, ২ জোড়া কানের বালা, ১টি আংটিসহ মোট ৩ ভরি সোনার গহনা নিয়ে মনির নিয়ে যায় এবং গোপনে সোনালী ব্যাংক থেকে কহিনুরের একাউন্ট (নং ১১৪৬০) থেকে ১২ টাকা উত্তোলন করে নেয়। বাড়িতে বেড়াতে এলে তার মেয়েকেও নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো মনির কিন্তু তা প্রত্যাখান করলে মনির ওই মেয়ের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়। কিন্তু সু-চতুর প্রতারক মনির কহিনুরের ছেলেকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত করে নানাভাবে হেয় করে। পরে কহিনুর বিষয়টি বুঝতে পেরে এ ঘটনা ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন এবং মনিরের বিপক্ষে অবস্থান নিলে তার বিবাহিত মেয়ের মেয়ের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অপপ্রচার শুরু করে। কহিনুর বেগম আরও অভিযোগ করেন, মনিরের কাছে থাকা ২টি চেকের মাধ্যমে বর্তমানে কহিনুরের কাছে ৭ লাখ টাকা দাবি করে আসছে অন্যথায় কহিনুরের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলাসহ নানা হুমিক ও ভয়ভীতি দিয়ে দেখাচ্ছে। নিরুপায় হয়ে কহিনুর বাদি হয়ে মনিরের বিরুদ্ধে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গত ৭ মে মামলা দায়ের করে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মনির হাওলাদারের মতামতের জন্য তার ব্যবহৃত নম্বরে (০১৭৮৭২৪০৪৩৭) একাধিক বার কল দিলেও তা রিসিভ করেনি। রাজাপুর থানার এসআই ফিরোজ আলম জানান, আদালতের নির্দেশ অনুয়ায়ী দলিল ও চেক উদ্ধারপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net